আঁচিল এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ (Homeopathic treatment of Achilles)

আঁচিল এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ
(Homeopathic treatment of Achilles)

Achilles images
Achilles images

আঁচিল এক প্রকার আব বা টিউমার। যাহা চর্মের উপরে জন্মে থাকে ইহা ছোট, বড়, নিরেট, ফাটা, ফুলকপির মত, ফাটা ফাটা বা চলিত ভাষায় কাঠ আচিল ,সুঁচাল এরুপ নানা গঠনে হয়ে থাকে। আঁচিলে কোন বেদনা থাকে না। দেখিতে বিশ্রি দেখায়। কোন কোন আচিঁলে রস ঝরতে রক্ত স্রাব হতে দেখা যায়।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শাত্রে এক মাত্র আঁচিলের চিকিৎসা আছে। সঠিক মাত্রায় সেবনে আঁচিল আরোগ্য হয়। নিম্নে আঁচিলের কিছু ঔষধ লক্ষণ ভিত্তিক আলোচনা করা হলঃ

আঁচিলের হোমিওপ্যাথিক ঔধষ সমূহঃ

থুজা : যদি দেখেন রোগীর আঁচিল ফুলকপির মত ফাটা ফাটা শক্ত তাহলে শক্তি 200 সকাল ও রাত্রে দুই মাত্রা করে খেতে হবে এবং 1 এম বা 10 এম 1 ডোজ দিয়ে 45 দিন অপেক্ষা করতে হবে।

কষ্টিকাম : নাকে মুখে বুকে বা শরীলের বিভিন্ন স্থানে নিরেট মশৃণ আচিলে অব্যার্থ। শক্তি ২০০- এম সকাল বিকাল দুই মাত্র পুরাতন হলো আরো উচ্চ শক্তি।

স্টাফিসাগ্রিয়া : বদ মেজাজী ভীরু শীত কাতর অতিরিক্ত কামাতুর,এই ধাতুর রোগী ডুমুর বা ফুল কপির মত ছোট বড় আচিলে উপকারী। শক্তি ২০০-১এম সকাল বিকাল দুই মাত্র পুরাতন হলো আরো উচ্চ শক্তি।

এসিড নাইট : গুহা দ্বারে লিঙ্গো অন্ড কোষে কুচকিতে চোখের পাতায় শরীলের যে কোন স্থানে আচিল দিয়ে রক্ত স্রাব হলে অব্যার্থ। শক্তি ১০এম সি এম রোগের অবস্থা অনুযায়ী।

সিনাবেরিস : শরীলের বিভিন্ন স্থানে আচিল রক্ত স্রাব হলে অব্যার্থ। শক্তি ২০০ দুই বার এম পুরাতন হলে।

ক্যালকেরিয়া কার্ব : মোটা থলথলে চর্বিযুক্ত রোগীর ক্ষেত্রে ৩০-২০০ দুই বার পুরাতন হলে উচ্চ শক্তি।

অরাম মিউর : জিহব্বায় আচিলে অব্যার্থ মলদ্বারে জননেদ্রীয় আচিলে উপকার শক্তি এক্স দুই বার।

বাইওকেমিক

সাইলেসিয়া : ছেলে মেয়েদের বুকে মুখে পেটে বিভিন্ন আচিলে পুজ হলে বা শক্ত হলে। শক্তি -১২-৩০-২০০ এক্স বার।

নেট্রাম মিউর ন্যাট্রাম সালফ : হাতে,পায়ে,গুহা দ্বারে,লিঙ্গে,শরীরের বিভিন্ন স্থানে আচিলে পর্যায়ক্রমে বড়ি করে প্রত্যহ বার।

ক্যালকেরিয়া ফ্লোর : ১২এক্স শক্ত আচিল ব্যাবহার করতে হবে।


হাত দিয়ে টিপাটিপি করা যাবে না। চুল দিয়ে বাধলে পড়ে যায়।পিয়াজ,গোমাংস, হাসের ডিম তেতুলের টক খাওয়া নিষেধ। 


আঁচিলে বাহ্যিক ব্যবহারের ঔষধ সমুহঃ

থুজা মাদার,বেলিস পিরেনিস মাদার ও রাসটক্স মাদার

 

বিঃদ্রঃ হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কোন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া ঠিক নয় এতে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সচেতনতার সাথে ব্যবহার করুন।

 

Next Post Previous Post