অর্শ্ব /পাইলস রোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ (Homeopathic treatment of hemorrhoids)
অর্শ্ব /পাইলস্ রোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ
(Homeopathic treatment of hemorrhoids)
![]() |
| Pails/hemorrhoids-images |
নানা কারণে অর্শ্ব রোগ জন্মে থাকে যেমন, কুচো কৃমি জনিত কারণে, দির্ঘদিন কোষ্টকাঠিন্য,অলস সময় পার করা বা অলস ব্যাক্তি,বংশগত ইত্যাতি।এক বছরের অধিক সময় হলে পুরাতন আকার ধারণ করে তখন কোন চিকিৎসায় আরোগ্য হতে চায়না। তাই এই রোগের লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া উচিৎ। সাধারনত দুই প্রকার অর্শ্ব দেখা দেয়।
১। বহিঃবলিঃ- মলদ্বারের মুখের দিকে ফোড়ার ন্যায় দেখা দেয় কোষ্টকাঠিন্যর কারণে মাঝে মাঝে ফোলে ও ব্যাথা হয়ে থাকে এটি চিকিৎসা করলে ভাল হয়।
২। অন্তঃবলিঃ- মলদ্বারের ভিতরের দিকে হয় এক ধরনের জ্বালের ন্যায় এটি পুরাতন হলে ব্যথা ও রক্তস্রাব হয়। এই ধরনের অর্শ্ব সহজে আরোগ্য হতে চায়না। তবে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিলে অনেক সময় ভাল হয়।
মাংস,ডিম,মসলা জাতীয় খাবার,চা,কফি ইত্যাদি খাবার বর্জন করতে হবে। মল যাহাতে পরিস্কার থাকে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে কোন ভাবে মল কঠিন করা যাবে না। নিয়মিত শীতল পানি দ্বারা গোসল করতে হবে। পাকা বেল বা কাচা বেল পোড়ায়ে সরবত তৈরী করে নিয়মিত খেতে হবে।
নিম্নে কিছু হোমিওপ্যাথিক ঔষধ এর বিবরণ দেওয়া হলঃ
নাক্স ভমিকা ও সালফার : সকালে সালফার ৩০ রাত্রে নাক্্র ৩০ পর্যয়ক্রমে কিছুদিন,তার পর উক্ত নিয়মে ২০০ কিছুদিন পরে সালফার ১/১০ এম ব্যাবহার করলে অব্যর্থ ফল পাওয়া যায়।
আর্সেনিক এলবাম : অস্থিরতা,অবসন্নতা,খিটখিটে মেজাজ,মলদ্বারে অত্যন্ত জ্বালা বেদনা,গরমে আরাম হলে আর্সেনিক ২০০ দুই বার।
কলিনসোনিয়া : কোষ্টবদ্ধ শুকনা মল অতি কষ্টে নিগত হয়, মলদ্বারে ব্যাথা মনে হয় কাচের টুকরা,খোচা লাগে,রক্ত পড়ে,রক্ত স্রাবে শক্তি ৬/৩০ তিন বার, ২০০ খাওয়ালে দুইবার। পুরাতন হলে ১/১০/সি এম।
ইসকিউলাস হিপ : কোমর বাথা নিত্য সহচর,রক্তস্রাব তেমন একটা হয়না, খোচানি,টাটানি,চুলকায় ও জ্বলে শক্তি ৩ এক্স /৬/৩০ তিন বার, পুরাতন হলে ১/১০ এম।
এসিড নাইট : খিটখিটৈ স্বভাব,শীতকাতর,প্রসাবে তীব্র গন্ধ, সহজে ঠান্ডা লাগে,মল শক্ত বা নরম যাই হোক না কেন পায়খানা করলে অত্যন্ত জালা করে, সুচ ফোটানো মনে হয় শক্তি ৬/৩০ তিন বার,২০০ দুই বার, পুরাতন হলে ১/১০ এম।
এসিড সালফ : কাজেকর্মে অত্যন্ত ব্যাস্ত,অর্শ্ব বড় হয়ে মলদ্বার বন্ধ হয়ে গেছে,গন্ধহীন রসে কাপড় ভিজিয়া যায়,মলদ্বার জ¦লে শক্তি ৬/৩০ দুই বার, পুরাতন হলে ২০০/১ এম।
মেডোরিনাম : মলদ্বার হতে দুর্গন্ধ যুক্ত রস জলের মত বাহির হলে শক্তি ২০০/১ এম দুই মাত্রা, পুরাতন হলে ১০/৫০/ সিএম।
এসিড নাইট : খিটখিটৈ স্বভাব,শীতকাতর,প্রসাবে তীব্র গন্ধ, সহজে ঠান্ডা লাগে,মল শক্ত বা নরম যাই হোক নাে কন পায়খানা করলে অত্যন্ত জালা করে, সুচ ফোটানো মনে হয় শক্তি ৬/৩০ তিন বার, ২০০ দুই বার, পুরাতন হলে ১/১০ এম।
এসিড মিউর : মেজাজ খিটখিটে,সামান্য কারনে রাগিয়া যায়, শীতকাতর, টাটানি ব্যাথা কাপড়ে ঘর্ষন লাগিলে কষ্ট, গরমে উপশোম,ঠান্ডায় বাড়ে শাক্তি ৩০/২০০ দুই বার।
এলো : অলস,দৈহিক ও মানসিক পরিশ্রামে অনিচ্ছা, অল্প পরিশ্রামে কাতর, গরম কাতর,পায়খানায় বসিয়া কোথ দিলে অর্শ্বের বলি আঙ্গুলের থোকার মত বাহির হয়ে আসে,চুলকায় জ্বলে,ঠান্ডা জ্বলে আরাম পায় শক্তি ৬/৩০ দুই বার, পুরাতন হলে ২০০ বা ১ এম।
মিলিফোলিয়াম : যন্ত্রনা বিহিন অর্শ্বে লাল টকটকে রক্ত স্রাবে শক্তি মাদার জলের সাথে প্রত্যহ তিন বার।
ব্লুমিয়া অডোরেটা : বাংলাদেশী ঔষধ রক্তস্রাবীয় অর্শ্বে মহা উপকারি শক্তি মাদার ৩/৪ বার কিছুদিন ।
এমোনকার্ব : রক্তস্রাবীয় অর্শ্বে ভাল কাজ কর, শুকনা মল অতি কষ্টে নিগত হয়,চুলকায়,পায়খানা করলে অশের্^র বলি বাহির হয়ে আসে শক্তি ৩০/২০০ দুইবার।
বাইওকেমিক
ক্যালকেরিয়া ফ্লোর ও ফেরাম ফস : পর্যয়ক্রমে খেলে ভাল কাজ করে শক্তি ৬ এক্স।
ম্যাগ্নেশিয়া ফস : ব্যাথা থাকলে শক্তি ৩/৬ এক্স হালকা গরম জলের সাথে সেব্য।
বিঃদ্রঃ হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কখনও নিজে নিজে খাবেন না কোন ভাল হোমিও ডাঃ এর পশামর্শ করে তার পর সেবন করবেন। নিজে নিজে খেলে ক্ষতির সম্ভাবনা আছে।
