বাংলাদেশ আদমশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ ও অন্যন্য প্রয়োজনীয় তথ্যঃ (Census Bangladesh 2022 & Other necessary information)
বাংলাদেশ আদমশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২
![]() |
| Census and House Enumeration 2022 |
বাংলাদেশ আদমশুমারি
ও গৃহগণনা ২০২২
১৯৮১ সালে
দেশের জনসংখ্যা ছিল
৮ কোটি ৭১
লক্ষ ১৯ হাজার
৯৬৫ জন।
বাংলাদেশের পরিসংখ্যান
ব্যুরোর তত্ত্বাবধানে
২০২২ সালের ১৫
জুন পর্যন্ত এক
সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত
হয়। এই গণনা
দেশের ৬ষ্ঠ জাতীয়
আদমশুমারি। উক্ত
আদমশুমারিতে সংগৃহীত
তথ্যের মানদন্ড হিসাবে
১৫ জুন ২০২২
তারিখটি ব্যবহৃত
হয়। ১০ বছর
পরপর আদমশুমারি হওয়ার
ধারাবাহিকতায় ২০১১
সালের পর ২০২১
সালে এই শুমারী
অনুষ্ঠি হওয়ার
কথা থাকলেও কোভিট-১৯ মহামারী ও
সিলেট,সুনামগঞ্জ,মৌলভীবাজার
ও নেত্রকোনা জেলায়
বন্যা থাকায় ২৮
জুন ২০২২ পর্যন্ত
তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম
চলমান ছিল। আর
এই কারনে আদমশুমারী
গণনায় বিলম্বিত হয়।
৬ষ্ঠ আদমশুমারী
ও গৃহগণনা ২০২২
সালের প্রাথমিক ফলাফল
২৭ জুলাই ২০২২
তারিখে ঘোষণা করা
হয়। ফলাফল অনুসারে
বাংলাদেশের জনসংখ্যা
১৬ কোটি ৫১
লক্ষ ৫৮ হাজার
৬১৬ জন। এর
মধ্যে পুরুষ এর
সংখ্যা ৮ কোটি
১৭ লক্ষ ১২
হাজার ৮২৮ জন,
নারীদের সংখ্যা
৮ কোটি ৩৩
লক্ষ ৪৭ হাজার
২০৬ জন এবং
তৃতীয় লিঙ্গের ১২
হাজার ৬২৯ জন।
২০১১ সালের
আদমশুমারী ও
গৃহগণনা অনুযায়ী
বাংলাদেশের মোট
জনসংখ্যা ছিল
১৪ কোটি ২৩
লক্ষ ১৯ হাজার
জন। এর মধ্যে
পুরুষ ৭ কোটি
১২ লক্ষ ৫৫
হাজার ও নারী
৭ কোটি ১০
লক্ষ ৬৪ হাজার।
২০১১ সালে
দেশে জনসংখ্যা ছিল
১২ কোটি ৪৩
লক্ষ ৫৫ হাজার
২৬৩ জন।
১৯৯১ সালে
দেশে জনসংখ্যা ছিল
১০ কোটি ৩৬
লক্ষ ১৪ হাজার
৯৯২ জন।
১৯৭৪ সালে
প্রথম আদম শুমারীতে
দেশে জনসংখ্যা ছিল
৭ কোটি ১৪
লক্ষ ৭৯ হাজার
৭১ জন।
বিশ্বের জনসংখ্যা
কত?
বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ
হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের
জনসংখ্যা এখন
প্রায় ৭৮৭ কোটি
৫০ লাখ শনিবার
(২৬ মার্চ) ২০২২
সাল এর ওয়াসিংটন
বিশ্বব্যাংকের প্রধান
কার্যালয়ের অফিস
তথ্য মতে।
![]() |
| Census Bangladesh 2022 |
এক নজরে বাংলাদেশঃ
রাজধানীঃ ঢাকা
মুদ্রার নামঃ
টাকা
সাংবিধানিক নামঃ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ
বাংলাদেশের আয়তনঃ
১৪৭,৫৭০বর্গকিলোমিটার।
বাংলাদেশের বভিাগ
৮ টি নিম্নে
দেওয়া হলঃ ঢাকা,
খুলনা,চট্টগ্রাম,সিলেট,বরিশাল,রাজশাহী,রংপুর
ও ময়মানসিংহ।
জেলা ৬৪
টি
উপজেলা ৪৯১
টি
শিক্ষার হারঃ
৬৩.৬%
ভাষাঃ বাংলা
আমাদের জাতীয় ভাষা
- ৯৫% জনগণ এই
ভাষায় কথা বলে।
অন্যান্য ভাষা
- ৫%
মুসলিম - ৮৬.৬%,
হিন্দু - ১২.১%
বৌদ্ধ - ০.৬%
খ্রিষ্টান - ০.৪% এবং
অন্যান্য - ০.৩%.
জনসংখ্যার বৃদ্ধির
হার: ১.৩৭%
জন্মহার: প্রতি
হাজারে ১৮.৮
জন
মৃত্যুহারঃ প্রতি
হাজারে ৫.১
জন
বাঙ্গালিঃ ৯৮%
কৃষি কাজের
উপর নির্ভরশীল ৪৮.৪%,
শিল্পের উপর
নির্ভরশীল ২৪.৩%,
অন্যান্যঃ ২৭.৩%
ক্ষুদ্র নৃ
গোষ্ঠী সমূহঃ বাংলাদেশের
২% প্রধান নৃ
গোষ্ঠীগুলো হলঃ
মারমা,ত্রিপুরা,
চাকমা, সাঁওতাল, গারো,
মনিপুরী, তনচংগা।
সীমানাঃ
উত্তরে ভারত
(পশ্চিমবঙ্গ আর
মেঘালয়)
পশ্চিমে ভারত
(পশ্চিমবঙ্গ )
পূর্বে ভারত
(ত্রিপুরা ও
আসাম) এবং মায়ানমার
দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর
সমুদ্র সীমানাঃ
৫৮০ কিমি।
সমুদ্র এলাকাঃ
১২ ন্যাটিকাল মাইল।
প্রধান নদীঃ
পদ্মা, মেঘনা, যমুনা,
সুরমা, ব্রহ্মপুত্র, কর্ণফুলী,
তিস্তা, শীতলক্ষ্যা, রূপসা,
মধুমতি, গড়াই, মহানন্দা।
প্রধান ফসলঃ
ধান, পাট, চা,
গম, আঁখ, ডাল,
সরিষা, আলু, শাকসবজি
ইত্যাদি।
প্রধান শিল্পঃ
গার্মেন্ট (বিশ্বে
২য় বৃহত্তম শিল্প),
পাট (বিশ্বের বৃহত্তম
উৎপাদক), চা, সিরামিক,
সিমেন্ট, চামড়া,
রাসায়নিক, সার,
চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতকরন, চিনি,
কাগজ, বৈদ্যুতিক ও
ইলেট্রনিক্স, ঔষুধ,
মৎস্য।
প্রধান আমদানিঃ
গম, সার, পেট্টোলিয়াম
দ্রব্যাদি, তুলা,
খাবার তেল, ইত্যাদি।
প্রধান খনিজ
সম্পদঃ প্রাকৃতিক গ্যাস,
তেল, কয়লা, চিনামাটি
কাচ বালি ইত্যাদি।
পর্যটক আকর্ষন
ঢাকা, চট্রগ্রাম, কক্সবাজার,
কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি,
খাগড়াছড়ি, বান্দরবান,
কুয়াকাটা, বগুড়া,
খুলনা, সুন্দারবন, সিলেট,
রাজশাহী,দিনাজপুর,
এবং কুমিল্লা।
বিমানবন্দরঃ ৮টি
১। ঢাকা
(আন্তর্জাতিক),
২। চট্রগ্রাম
(আন্তর্জাতিক),
৩। সিলেট
(আন্তর্জাতিক),
৪। যশোর,
৫। রাজশাহী,
৬। সৈয়দপুর,
৭। বরিশাল
ও
৮। কক্সবাজার।
লেখাটি পাড়ার
জন্য অনেক ধন্যবাদ
নিজে জানুন এবং
অপরের কাছে
লিঙ্ক শেয়ার করে
অন্যদেরকে জানতে
সাহায্য করুন।

