অর্শ্বগন্ধার উপকারিতা ও অপকারিতা: (Advantages and Disadvantages of Arshwagandha:)

Advantages and Disadvantages of Arshwagandha
অর্শ্বগন্ধা

অর্শ্বগন্ধা কী?

অর্শ্বগন্ধার বৈজ্ঞানিক নাম উইথানিয়া সমনিফেরা। প্রচীন আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ব্যবহৃত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ ঔষধী উদ্ভিদ হচ্ছে “অর্শ্বগন্ধা“স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অর্শ্বগন্ধার উপকারিতা অপরিসীম। মানসিক চাপ থেকে মুক্তির জন্য অর্শ্বগন্ধা অধিক ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

উপকারিতা সমুহঃ

* অনিদ্রা ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে অধিক কাজ করে থাকে।

* ক্যান্সার প্রতিরোধে অর্শ্বগন্ধা ব্যবহার হয়ে আসছে সুনামের সাথে।

* ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে এর ভূমিক অধিক।

* থাইরয়েডের সমস্যায় অর্শ্বগন্ধা।

* শরীরের বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ জনিত সমস্যায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অর্শ্বগন্ধা অত্যন্ত সহায়ক।

* শরীরের রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

* চুলের যত্নে ব্যবহার হয়ে আসছে অনেক দিন থেকে চুল পড়া ও চুলের গোড়া শক্ত করতে অধিক কাজ করে থাকে।

* ত্বকের যত্নে ব্যবহার ত্বকের ভাজ পড়া,অকাল বার্ধক্য ও চির যৌবন ধরে রাখতে অর্শ্বগন্ধার ভুমিকা অনেক বেশী কার্যকরী।

* বিষাক্ত সাপে কামড়ালে ইহার ব্যবহার করে থাকে।

অপকারিতাঃ

* অর্শ্বগন্ধা দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যাবে না যার ফলে পাকস্থিলীর গোলোযোগ দেখা দিতে পারে।

* গর্ভবতী মহিল্যাদের ব্যবহার নিষেধ যার ফলে গর্ভপাত হতে পারে।

* যে সকল মায়েরা সন্তানের স্তন পান করান তারা অর্শ্বগন্ধা ব্যবাহার করা থেকে দূরে থাকবেন।

* অর্শ্বগন্ধা রক্ত পাতলা করে তাই সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।

* দেহের শর্করার পরিমান কমে যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রেখে ব্যবহার করা উচিৎ।


মুলত সব কিছুরই উপকারিতা ও অপকারিতা থাকে তাই সকল কিছুই ভালভাবে বিবেচনা বা ভাল কোন ডাক্তারের পরামর্শ করে সেবন করা উচিৎ।

Next Post Previous Post