তুলসী গাছের উপকারীতাঃ (Benefits of tulsi plant)
তুলসী গাছের উপকারীতাঃ (Benefits of tulsi plant)
তুলসীর ঔষধি ব্যবহার ও উপকারিতাঃ
ঔষধি পাতা বিভিন্ন ধরনের শাস্ত্রীয় এবং বাড়িতে তৈরি প্রস্তুতির জন্য ব্যবহার করা হয়। ভারতীয় পৌরাণিক কাহিনী তুলসীকে একটি পবিত্র ভেষজ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে একটি মহান তাৎপর্য সংযুক্ত করে। সম্ভবত, এই ধরনের তাত্পর্য ভেষজ প্রকৃত স্বাস্থ্য অ্যাপ্লিকেশন থেকে আসে. শ্বাসযন্ত্র, পাচক এবং চর্মরোগের চিকিৎসায় প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে এর ব্যবহার সুপারিশ করা হয়। এই সাধারণ ব্যাধিগুলি ছাড়াও, আয়ুর্বেদ টিউমারাস বৃদ্ধি পর্যন্ত রোগের জন্যও এর ব্যবহারকে স্বীকৃতি দেয়।
১। তুলসি জ্বর নিরাময়ে সহায়তা করেঃ জ্বর নিরাময়ের জন্য তুলসি একটি প্রাচীন উপাদান। এটি বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধ এবং ঘরোয়া প্রতিকার তৈরির প্রধান উপাদানগুলির মধ্যে একটি।
২। কিডনির পাথরের চিকিৎসা করা হয়ঃ তুলসি একটি হালকা মূত্রবর্ধক এবং ডিটক্সিফাইং এজেন্ট কাজ করে যা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। পবিত্র তুলসীতে উপস্থিত অ্যাসিটিক অ্যাসিড পাথর ভাঙতে সাহায্য করে।
৩। হার্ট ভাল রাখতে তুলসীঃ পবিত্র তুলসীতে ভিটামিন সি এবং ইউজেনলের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা মুক্ত র্যাডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে হৃদয়কে রক্ষা করে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও ইউজেনল উপকারী প্রমাণিত হয়।
৪। ব্রণের ভাল রাখতে সহায়তা করেঃ পবিত্র তুলসী ব্যাকটেরিয়া এবং সংক্রমণ মারতে সাহায্য করে। পবিত্র তুলসী তেলের প্রাথমিক সক্রিয় যৌগ হল ইউজেনল যা ত্বক সংক্রান্ত রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। Ocimum Sanctum অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিকভাবে ত্বকের সংক্রমণের চিকিৎসায় সাহায্য করে।
৫। বার্ধক্য রোধ করেঃ পবিত্র তুলসীর ভিটামিন সি এবং এ, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টগুলি দুর্দান্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণে হওয়া প্রায় সমস্ত ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
৬। চোখের যত্নে ব্যবহারঃ তুলসির অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ভাইরাল, ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। এটি চোখের প্রদাহকেও প্রশমিত করে এবং চাপ কমায়।
৭। মাথাব্যথা উপশম করেঃ তুলসি একটি প্রাকৃতিক মাথাব্যথা উপশমকারী যা মাইগ্রেনের ব্যথাও উপশম করতে পারে।
৮। মৌখিক স্বাস্থ্যঃ তুলসি একটি প্রাকৃতিক মুখের ফ্রেশনার এবং একটি মৌখিক জীবাণুনাশক। এছাড়াও মুখের আলসার নিরাময় করতে পারে। পবিত্র তুলসী দাঁতের গহ্বর, ফলক, টারটার এবং নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে, পাশাপাশি দাঁতকে রক্ষা করে।
৯। শ্বাসযন্ত্রের ব্যাধি নিরাময় করেঃ ক্যাম্পেন, ইউজেনল এবং সিনিওলের মতো যৌগগুলির উপস্থিতির কারণে, তুলসি শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাল, ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকজনিত সংক্রমণ নিরাময় করে। এটি ব্রঙ্কাইটিস এবং যক্ষ্মা মত বিভিন্ন শ্বাসযন্ত্রের ব্যাধি নিরাময় করতে পারে।
১০। ভিটামিন কে এর সমৃদ্ধ উৎসঃ ভিটামিন কে একটি অপরিহার্য চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিন যা হাড়ের স্বাস্থ্য এবং হার্টের স্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১১। কফ বা কাশি তুলসি ফুসফুসের কফ নিঃস্বারণ করতে অত্যন্ত কার্যকারী। এটি নতুন পুরাতন কফ জনিত যত সমস্যা আছে সকল ক্ষেত্রে ভাল কাজ করে থাকে।
১২। পেট ফাঁপা বা অর্জীর্ণ পীড়ায় বহুদিন যাবত সুনামের সাথে ব্যবহার হয়ে আসছে।
১৩। যাদের পেটের মল পরিস্কার হয় না তাদের নানা ধরনের পেটের অসুক দেখা দেয় যেমন কোষ্টকাঠিন্য,গ্যাস,আলসার,পেট ব্যথা এসকল কারনে অনেক জটিলতার সৃষ্টি হয় তুলসি ব্যবহার করলে পেটের মল পরিস্কার হয় যার ফলে এই অসুক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
১৪। হাঁপানি বা এ্যাজমার ক্ষেত্রে অধিক কাজ করে থাকে এটি শ্বাসকষ্ট নিরাময় করে বুকে জমা কফ পরিস্কার করে হাঁপানির যে টান অনেক উপশোম করে থাকে।
১৫। যাদের অরুচী খেতে মোটেও ইচ্ছা করেনা তাদের রুচী বাড়াতে তুলসি ব্যপক ভূমিকা পালন করে। তুলসি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে শরীর সুস্থ ও সুন্দর করে।
এছাড়া তুলসী বাড়িতে থাকলে গাছের থেকে বের হওয়া পরিশোধিত বায়ু আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার করে থাকে।
লেখাটি পাড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ নিজে শিখুন এবং কাছের লোকদের লিঙ্ক শেয়ার করুন।
