চুলের পীড়ায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ (Homeopathic medicine for hair loss)

Homeopathic medicine for hair loss
Homeopathic medicine for hair loss

চুলের পীড়ায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ

বর্তমানে মানুষের ব্যস্থতার কোন শেষ নেই আর এই ব্যস্থার কারনে নানা ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। চুল পড়ে যাওয়া তার মধ্যে একটা বিরাট সসম্যা বর্তমানে বিভিন্ন কারণে চুল উঠিয়া যায় যেমনঃ- অতিরিক্ত অধ্যয়ন,মানসিক পরিশ্রম,দীর্ঘকাল স্থায়ী শোক দু: ভোগ করা,নানা প্রকার চিন্তা,উৎকন্ঠা,মাথা ধরা,কঠিন রোগ ভোগের পর,প্রসূতির সন্তান প্রসবের পর,অতিরিক্ত শুক্র ক্ষয় ইত্যাদি কারণে এই পীড়া দেখা যায়।

মাথার চুল টাইট করিয়া না বাধা উচিৎ। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে যেমন,মাছ,মাংস,দুধ,ডিম,ঘৃত জাতীয় ইত্যাদি খাবার।

চুলের যাবতীয় পীড়ায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ

চুলের পীড়ায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা একটি সঠিক সিদ্ধান্ত একটু ধর্য্যের সাথে নিয়মিত কিছু অধিক দিন ব্যবহার ঔষধ সেবন করলে চুলের যাবতীয় পীড়া আরোগ্য হয়ে থাকে। তাই লক্ষণ মিলিয়ে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সমুহ নিম্নে আলোচনা করা হলঃ

কার্বভেজ : শীত কাতর রোগী,পাখার বাতাস প্রিয়,সন্তান প্রসবের পর প্রসূতির মাথার চুল উঠতে থাকলে কিংবা কঠিন রোগ ভোগের পরে মাথার চুল উঠলে কার্বভেজ অধিক উপকারী। শক্তি ৩০ দিনে দুই মাত্রা সামান্য ঠান্ডা পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সেব্য। শক্তি ২০০ তিন দিন অন্তর এক মাত্রা।

হিপার সালফ : অনেক দিন যাবৎ মাথা বেদনা বা ধরার কারণ বসত চুল উঠতে থাকিলে। শক্তি ৩০ দিনে দুই মাত্রা সামান্য ঠান্ডা পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সেব্য। শক্তি ২০০ তিন দিন অন্তর এক মাত্রা।

লাইকোপডিয়াম : গরম কাতর রোগী,খুবই গরম খাদ্য পছন্দ করে,হিংসুক,লোভী,ভীরু,অতিশয় কৃপণ এই ধাতুর রোগীদের অল্প বয়সে চুল পাকে,মাথার তালুতে টাক পড়ে,কিংবা পেটের অজির্ণ পীড়া বা উদরাময় ভুগিয়া চুল উঠিলে লাইকোপডিয়াম খুব ভাল কাজ করে থাকে। শক্তি ২০০ সপ্তাহে এক মাত্রা প্রয়োজনে আরো উচ্চ শক্তি।

এসিড ফস : শীত কাতর যুবক বা যুবতী গভীর শোক দু:,মনে কষ্ট ইত্যাদি কারণে চুল উঠিয়া বা পাকিয়া যাইতে থাকিলে এসিড ফস উপকারী। শক্তি ৩০ দিনে দুই মাত্রা সামান্য ঠান্ডা পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সেব্য। কিছু অধিক দিন সেবন করতে হয়।

সিপিয়া : সন্তান প্রসবের পর প্রসূতির মাথার চূল উঠিলে সিপিয়া ৩০ দিনে দুইবার সেবন সিপিয়া মাদার এক ভাগ নয় ভাগ নারিকেল তেলের সাথে মিশ্রিত করিয়া মাথার চুলে লাগালে চুল উঠা বন্ধ হয়ে যায়।

সেলিনিয়াম : বল ক্ষয়কারী পীড়া ভোগের পর মাথার চুল,গোফ,দাড়ি বা গুপ্ত স্থানের চুল উঠিয়া যাইতে থাকিলে সেলিনিয়াম উপকারী। শক্তি ৩০ দিনে দুই মাত্রা সামান্য ঠান্ডা পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সেব্য।

এসিড ফ্লোর : অত্যন্ত কাম ভাবের প্রবৃত্তি,কামুক,সাহসী,শক্তিশালী,গরম কাতর,এই ধাতুর রোগীদের উদরাময়, টাইফয়েড বা কোন কঠিন রোগ ভোগের পর মাথার চুল উঠতে থাকিলে বা চুল উঠিয়া টাক পড়িলে ইহা এসিড ফ্লোর ভাল কার্যকরী। শক্তি ২০০ সপ্তাহে এক মাত্রা,পুরাতন হলে আরো উচ্চ শক্তি।

সিফিলিনাম : উপদংশ বিষদুষ্ট রোগীদের মাথার চুল উঠিয়া যাইতে থাকলেও উপযুক্ত ঔষধের ব্যর্থতায় ইহা উপকার আসে। শক্তি ২০০ বা এম বা উচ্চ শক্তি এক দিনে দুই বার সেবনই উপকার হয়।

বাইওকেমিক ঔষধ সমূহঃ

ক্যালকেরিয়া ফস : কোন প্রকার কঠিন রোগ ভোগের পর,রক্তহীন দুর্বল রোগীদের চুল উঠিয়া যাইতে থাকলে কিংবা প্রসবের পর প্রসূতির মাথার চুল উঠিলে এই ঔষধ বিফলে যায় না। শক্তি এক্স বা ১২ এক্স দিনে মাত্রা খাওয়ার ৩০ মিনিট পরে সেব্য।

ক্যলালকেরিয়া ফ্লোর : টাইফয়েড জ্বরের পর মাথার চুল উঠলে ভাল কাজ করে থাকে। শক্তি ১২ এক্স দিনে তিন বার খাওয়ার ৩০ মিনিট পরে সেব্য।


বিঃদ্রঃ হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কোন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া ঠিক নয় এতে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সচেতনতার সাথে ব্যবহার করুন।


লেখাটি পাড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ নিজে জানুন এবং অপরের কাছে  লিঙ্ক শেয়ার করুন।


Next Post Previous Post