রুচী বাড়াতে হোমিওপ্যাথিক ঔষধঃ (Homeopathic medicine to increase appetite)

Homeopathic medicine to increase appetite
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতিঃ
হোমিওপ্যাথিক ঔষধ একটি প্রাচীন
চিকিৎসা পদ্ধতি । হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
পদ্ধতি এত জনপ্রিয়তা পেয়ছে যার
কারণ এ
ঔষধের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। এক
সময় মানুষ এলোপ্যথিক চিকিৎসার
আগে মানুষ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা, হারবাল চিকিৎসা ও ভেষজ চিকিৎসার উপর
বেশী নিরভরশীল ছিল।
অরুীর কারণ :
হজম শক্তির গোলযোগ,অপরিমিত ভোজন,শারিরীক পরিশ্রাম না করা,কোন রোগ ভোগের পরে,বৃদ্ধ বয়সে এই রোগ বেশী হয়ে থাকে।
আপনি বা আপনার প্রিয়জন অথবা অতি আদরের সন্তান কি ক্ষুধামন্দা বা ক্ষুধার অভাব সমস্যায় জর্জরিত। খাবার বা খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে চরম অনীহা বা অরুচি প্রকাশ করে? স্বাভাবিক খাবার না খেয়ে বরং আজেবাজে, অখাদ্য খেয়ে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ে?
আপনি হয়ত দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করছেন আপনার আপনজন বা প্রিয় সন্তানের ক্ষুধাহীনতা তার শরীর, স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে। শুকিয়ে যাচ্ছে অথবা স্বাভাবিকভাবে শরীর, স্বাস্থ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে
না। এ নিয়ে আপনার উদ্বেগ, উৎকণ্ঠার শেষ নেই।
চিকিৎসা করিয়েছেস অনেক সব ধরণের ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ ঔষধ, রুচী বর্ধক খাবার, হরলিকস সব কিছুই খাইয়ে চেষ্টা করে দেখছেন। কিছুতেই কাজ হচ্ছে না।
আমি আপনাকে মিথ্যা আশ্বাস দেব না। আমাদের হোমিওপ্যাথিক এমন কিছু ঔষধ আছে যা যে কোন বয়সের মানুষের ক্ষুধাহীনতা ও দুর্বল শরীর স্বাস্থ্য চিকিৎসায় সাফল্যতার হারে সারা বিশ্বে ব্যাপকহারে ব্যবহার হয়ে
আসছে।
অরুীর কিছু হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সমূহঃ
অরুীর যতগুলো হোমিওপ্যাথিক ঔষধ আছে তার মধ্য সর্বধিক কার্যকারী ও বেশী ব্যবহৃত ঔষধগুলি লক্ষণ ভিত্তিক নিম্নে আলোচনা করা হল।
হাইড্রসটিস : পেটে ক্ষুধা মুখে অরুচী,জোর করিয়া কিছু আহার কারিলে পেটে যন্তনা করে। শক্তি ইহার মাদার ৪ ফোটা সামান্য ঠান্ডা পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ার ১০ মিনিট পরে ৩ বার সেব্য।
কলচিকাম : খাদ্য দ্রব্য অভক্তি,খাদ্য দেখিতেও চায়না,গন্ধে বমি এসে যায়,খাবার কথা বললে রাগ করে। শক্তি ৩০ বা ২০০ সামান্য পানির সাথে ২ ফোটা ঔষধ মিশিয়ে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সেব্য।
জেনসিয়ানা লুটিয়া : ক্ষুধাও হয় না,খাইতেও চায়না। শক্তি ইহার মাদার ৬ ফোটা সামান্য ঠান্ডা পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ার ১০ মিনিট পরে ৩ বার সেব্য।
নাক্স ভুমিকা : আদর্শ টনিক ক্ষুধা ও বল বাড়াতে। শক্তি ইহার মাদার ৫ ফোটা সামান্য ঠান্ডা পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ার ১০ মিনিট পরে ৩ বার সেব্য।
অ্যালফালফা : নিয়মিত কিছু দিন খেলে ক্ষুধা ও বল বৃদ্ধি পায়,হজম শক্তি বাড়ে। মাদার ৫-১৫ ফোটা ৩ বার খাওয়াতে হবে।
আমলকি : খাদ্রোর অরুচীতে আমলোকির মত ঔষধ খুব কমই আছে । তাই লক্ষণ অনুসারে ইহার মাদার ১০ থেকে ১৫ ফোটা সামান্য ঠান্ডা পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ার ১০ মিনিট পরে ৩ বার সেব্য।
ক্যারিকা পেপেয়া : এই ঔষধ দীর্ঘ দিন খাওয়ালে পেটের যাবতীয় গোলযোগ ভাল হয় ও সাথে সাথে রুচীর বৃদ্ধি হয়। মাদার ১০ থেকে ১৫ ফোটা সামান্য ঠান্ডা পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ার ১০ মিনিট পরে ৩ বার সেব্য।
কুর্চি : আমাশয় বা রক্ত আমাশয় সকল ধরণের আমাশয় বা পেটের গোলযোগ এর সাথে অরুচী থাকলে ভাল কাজ করে। ইহার মাদার ৬ থেকে ৮ ফোটা সামান্য ঠান্ডা পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ার ১০ মিনিট পরে ৩ বার সেব্য।
সেননা : সেননা মাদার কিছু অধিক দিন ব্যবহার করলে আপনার খাবারে রুচি বাড়বে শরীর স্বাস্থ ও পেশী তৈরীতে ব্যপক সহযোগিতা করে থাকে। ইহার মাদার ১০ ফোটা সামান্য ঠান্ডা পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ার ১০ মিনিট পরে ৩ বার সেব্য।
চাইনা : যাহারা বিভিন্ন কারনে শরীরের রস,রক্ত,বীর্য ক্ষয় করে দুর্বল বা অরুীর মত রোগে ভুগছেন তারা চায়না খেতে পারেন। এটি রক্ত তৈরীতে অধিক সহায়তা করে থাকে। শক্তি ৩০ বা ২০০ সামান্য পানির সাথে ২ ফোটা ঔষধ মিশিয়ে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সেব্য।
বাইওকেমিক ঔষধ সমূহঃ
ক্যালকেরিয়া ফস : অরুচী,ক্ষুধাহীন,রোগ ভোগের পর,রক্তহীন শিশু,যুবক ও বৃদ্ধ সকলের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর। শক্তি ৬এক্স বা ১২ এক্স ৩ বার ৪ বড়ি করে খাওয়ার ৩০ মিনিট পরে সেব্য।
ন্যাট্রাম মিউর : ন্যাট্রমা মিউর হোমিওপ্যাথিক ঔষধের সাথে লক্ষণ মিলিয়ে একবার ক্যালকেরিয়া ফস এক বার ন্যাট্রাম মিউর পর্যয় ক্রমে ব্যাবহার করলে খুব দ্রুত কাজ করে। শক্তি ১২ এক্স ৩ বার ৪ বড়ি করে খাওয়ার ৩০
মিনিট পরে সেব্য।