গর্ভবস্থায় বমি বা বমিবমি ভাব এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ (Homeopathic treatment of nausea or vomiting in pregnancy:)

Homeo treatment for pregnant women
Homeo treatment for pregnant women


গর্ভবস্থায় বমি বা বমিবমি ভাব এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ

গর্ভ সঞ্চারের দেড়,দুই বা তিন মাস হলে গর্ভবর্তী মহিল্যাদের বমি বা বমি বমি ভাব আরম্ভ হয় এটা প্রায় চার পাঁচ মাস পর্যন্ত চলে। গা বমি ভাব,খাদ্য খেলে বমি,মুখ দিয়ে জল ওঠা বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়। এ সময় অসল ভাবে বসে থাকা উচিৎ নয় সাধ্য মত উপযুক্ত পরিশ্রম করতে হবে,মন সর্বদা প্রফুল্ল বা আনন্দময় করে রাখতে হবে। সহজে হজম হয় এমন পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। অতিরিক্ত টক,ঝাল,অধিক মসলা ইত্যাদি জাতীয় ক্ষতিকারক খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

সাধারণত 

গর্ভবস্থায় বমি বা বমিবমি ভাব এর হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সমূহঃ

এ সময় তেমন কোন ঔষধ ব্যবহার করা ঠিক নয় তবে লক্ষণ মিলিয়ে হোমিওপ্যাথিক নিম্ন শত্তির কিছু ঔষধ ব্যবহার করা যায়। সেগুলো নিম্নে সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা করা হলঃ-

ইপিকাক : বমির প্রধান ঔষধ। বমির কথা শুনিলেই,যাহা আহার করে তাহাতেই বমি হয়। সর্বদা গা বমিবমি হয়। জিহ্বা পরিস্কার গর্ভধারিনী মহিল্যাদের ক্ষেত্রে উপকারী। শক্তি ৩০ দিনে বার সামন্য পানিতে মিশিয়ে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সেব্য।

ম্যাগ্নেশিয়া কার্ব : গর্ভিনীদের বমি বমি ভাব টক বমি হলে ম্যাগনেশিয়া কার্ব অব্যার্থ। শাক্তি ৩০ বা ২০০ দিনে বার সামন্য পানিতে মিশিয়ে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সেব্য।

সিম্ফোরিকার্পস রেসিমোসা : মুখে লালা উঠে,থুথু পেলে ক্রমাগত বমির ভাব,মাঝেমাঝে বমি সমস্ত খাদ্যে অরুচি। শাক্তি ২০০ দিনে বার সামন্য পানিতে মিশিয়ে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সেব্য।

পেট্রোলিয়ম : বমি বমি ভাব মাঝেমাঝে বমি,মুখে লালা ওঠে সকাল হতে সন্ধা পর্যন্ত চলিতে থাকে। শাক্তি ৩০ দিনে বার সামন্য পানিতে মিশিয়ে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সেব্য।

ক্রিয়োজোট : গর্ভধারীনিদের একটি উত্তম ঔষধ। আহারের অনেকক্ষণ পরও খাদ্য হজম হয়না হজম না হয়ে বমি। প্রচুর লালা ওঠে। শাক্তি ৩০ বা ২০০ দিনে বার সামন্য পানিতে মিশিয়ে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সেব্য।

 

কলচিকাম : সকল প্রকার খাদ্যে অভক্তি। খাদ্য দ্রব্য দেখিলে বা তার গন্ধ নাকে আসিলে বমি করিয়া ফেলে। শাক্তি ৩০ বা ২০০ দিনে বার সামন্য পানিতে মিশিয়ে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সেব্য।

 

কুপ্রাম সালফ : ধাতুগত লক্ষণ না মিললেও কোন ঔষধে স্থায়ী কাজ না হলে উপকারী। শাক্তি ৩০ দিনে বার সামন্য পানিতে মিশিয়ে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সেব্য।

 

সোরিয়ম অক্ : গর্ভিনীদের বমি নিবারনের জন্য উত্তম সকল প্রকার বমি বা বমি বমি ভাবের ইহা প্রযোজ্য। এক্স বা এক্স বার সামান্য পানির সাথে মিশিয়ে নিতে হবে।

থাইরয়ডিনাম : কোন লক্ষণ না মিললে এই ঔষধে ভাল কাজ করে। শাক্তি ৩০ দিনে বার সামন্য পানিতে মিশিয়ে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সেব্য।

এসারাম : গর্ভাস্থায় প্রথম দিকে কোন কিছু খাইতে পারে না,যাহা খাই তাহাই বমি হইয়া যায়,চমৎকার ঔষধ। শাক্তি ৩০ দিনে বার সামন্য পানিতে মিশিয়ে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সেব্য।

 

ল্যাকডিফ্লোর : কোষ্টবদ্ধ গর্ভিনীদের বমিতে অমোঘ। শাক্তি ৩০ বা ২০০ দিনে বার সামন্য পানিতে মিশিয়ে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সেব্য।

 

সোরিনাম : গর্ভবতী মহিল্যাদের কোন ঔষধে কাজ না হলে বা কমিয়া যদি আবার হয় তাহলে উত্তম। শাক্তি ২০০ দিনে বার সামন্য পানিতে মিশিয়ে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সেব্য।

 

বাইওকেমিক ঔষধ সমুহঃ

নেট্রাম ফস : গর্ভবর্তী মহিল্যাদের টক বমিতে বেশী কাজ করে থাকে। শক্তি ৬ এক্স বা ১২ এক্স বড়ি করে খাওয়ার ৩০ মিনিট পরে দিনে ৩ বার সেব্য।

নেট্রাম সালফ : তিক্ত আস্বাদ যুক্ত বমিতে উপকারী। শক্তি ৬ এক্স বা ১২ এক্স বড়ি করে খাওয়ার ৩০ মিনিট পরে দিনে ৩ বার সেব্য।


বিঃদ্রঃ হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কোন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া ঠিক নয় তাই ভাল কোন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার এর সাথে পরামর্শ করে সচেতনতার সাথে ব্যবহার করুন।

লেখাটি পাড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ নিজে জানুন এবং অন্যদের লিঙ্ক শেয়ার করে জানার সুযোগ করে দিন।

 

Next Post Previous Post