Menstruation delay homeopathic treatment: (যুবতীর ঋতুস্রাবে বিলম্বে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ)


Menstruation delay homeopathic treatment

যুবতীর ঋতুস্রাবে বিলম্বে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ

সাধারণত ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সের মেয়েদের ঋতু আরম্ভ হয়,শারীরিক অসুস্থতা,স্নায়ুবিক দুর্বলতা,ডিম্বকোষের পীড়া,দীর্ঘকাল কোন পীড়ায় ভোগিয়া দূর্বলতা রক্ত শূন্যতা কিংবা যোনিদ্বারে আবরক পর্দা ছিন্ন না হওয়াতে প্রথম ঋতুস্রাব বিলম্ব ঘটে,মাথা ভারবোধ,কোমরে টাটানি ব্যথা,শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট,তলপেটে বেদনা নানা প্রকার উপসর্গ দেখা দেয়।

প্রথম ঋতুস্রাব হইবার সময় বালিকাদের স্তন উচু হইয়া বর্ধিত হয়,বক্ষ প্রসারিত হয়,যৌবনকাল আরম্ভ হইলে সুশ্রী ভাব ধারণ করে,অপেক্ষা বিলাস পরায়ণা বালিকাগণের যাহারা পুষ্টিকর বলকারক দ্রব্যদি আহার করে তাহাদের অতি অল্প বয়সে ঋতুস্রাব হয়।

প্রতাহ ঠান্ডা পানির দ্বারা গোসল করতে হবে,সাধ্যমত পরিশ্রম ও ব্যয়াম করা উচিৎ বিলাসিতা এবং অলস্যতা ত্যাগ করতে হবে। সর্ব প্রকার উত্তেজক ও গরম খাবার আহার করা অনুচিত। পুষ্টিকর ও সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়া উচিৎ। 

যুবতীর ঋতুস্রাবে বিলম্বে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সমূহঃ

যুবতী মেয়েদের ঋতু স্রাব শুরু হলে অনেক সময় অনিয়মিত হয়ে থাকে। তাই যুবতীর ঋতুস্রাব দেরিতে হলে কিছু হোমিওপ্যাথিক ঔষধ আছে যা সেবন করলে ঋতু স্রাব নিয়মিত হয়। নিম্নে লক্ষণ ভিত্তিক ঔষধ সমূহের আলোচনা করা হলঃ

পালসেটিলা : নাক্স স্বভাব কোমল মন সহজে কাদিয়া ফেলে,খোলা বাতাস পছন্দ করে,সর্বদাই শীত শীত বোধ এই ধাতুর বালিকাদের রজ:স্রাব হইতে বিলম্ব হইলে পালসেটিলা উপকারী। শক্তি মাদার ৬ ফোটা ঔষধ সামান্য পানির সাথে মিশিয়ে দিনে ৩ বার খাওয়ার ১০ মিনিট পরে সেব্য। ২০০ বা ১ এম আরো ভালো কাজ করে।

সিমিসিফিউগা : মনে হয় ঋতুস্রাব এখনই হইবে কিন্তু হয় না,এমন ভাব থাকিলে কিংবা ২/১ বার ঋতুস্রাব হইয়া বন্ধ থাকিলে ইহা উপকারি। শক্তি মাদার ৬ ফোটা ঔষধ সামান্য পানির সাথে মিশিয়ে দিনে ৩ বার খাওয়ার ১০ মিনিট পরে সেব্য।

সালফার : হাত পা জ্বালা করে,মাথা গরম হয়,ক্ষুদা থাকেনা,কোন প্রকার চর্ম পীড়াগ্রস্থ রমনী গরমে কাতর কিন্তু গোসল করিতে চায়না,গোসল করিলে সকল যন্ত্রণা বৃদ্ধি এই ধাতুর বালিকাদের ঋতুস্রাব বন্ধ থাকিলে সালফার ব্যবহার করবেন। শক্তি ৩০ বা ২০০ দুই ফোটা ঔষধ সামান্য পানির সাথে মিশিয়ে দিনে ৩ বার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সেব্য।

ক্যালকেরিয়া কার্ব : অত্যন্ত মোটা থলথলে, মাথা গরম,শীত কাতর বালিকাদের ঋতু দর্শনে বিলম্ব হইলে ক্যালকেরিয়া কার্ব খুব ভাল কজ করে থাকে। শক্তি ৩০ বা ২০০ দুই ফোটা ঔষধ সামান্য পানির সাথে মিশিয়ে দিনে ৩ বার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সেব্য। পুরাতন হলে ১ এম বা ১০ এম এক মাত্রা দিতে হবে।

ফসফরাস : দুর্বল,ক্ষীণকায়,লম্বা,ফর্সা,তীক্ষ্ণ বুদ্ধি,শীত কাতর বালিকাদের ঋতু স্রাবের পরিবর্তনে নাক,মুখ,গুহাদ্বার বা মূত্রদ্বার দিয়ে রক্তপাত হইলে ইহা উপকারী। শক্তি ৩০ বা ২০০ দুই ফোটা ঔষধ সামান্য পানির সাথে মিশিয়ে দিনে ৩ বার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সেব্য।

ব্রাইওনিয়া : খিট খিটে স্বভাব,কাজ কর্মে অলসতা,সর্বদা চুপ কারিয়া শুইয়া থাকিতে চায়, কোষ্ট্যবদ্ধ এই রুপ বালিকাদের ঋতুস্রাবের পরিবর্তে নাক,মুখ দিয়া রক্ত নি:স্বরণ হইলে উপকারী। শক্তি ২০০ দুই ফোটা ঔষধ সামান্য পানির সাথে মিশিয়ে দিনে ২ বার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সেব্য।

সিপিয়া : ঋতুস্রাবের পরিবর্তে প্রদর স্রাবে ভোগে,দিনদিনি শরীর শুকাইতে থাকে,সর্বদা মনমরা, ঘর সংসারে মন বসেনা,বিমর্ষভাবে দিন কাটায়,এই প্রকৃতির বালিকাদের ঋতু স্রাবে বিলম্ব হইলে অব্যর্থ। শক্তি ৩০ বা ২০০ দুই ফোটা ঔষধ সামান্য পানির সাথে মিশিয়ে দিনে ৩ বার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সেব্য। পুরাতন হলে ১ এম বা ১০ এম এক মাত্রা দিতে হবে।

টিউবারকিউলিনাম : ক্ষীণকায়,সর্দি ঠান্ডা যেন লাগিয়ায় থাখে,বাচালতা অস্থিরতা শৈত্য প্রিয় বালিকাদের রজ:স্রাব বিলম্বিত হইলে উৎকৃষ্ট। শক্তি ৩০ বা ২০০ দুই ফোটা ঔষধ সামান্য পানির সাথে মিশিয়ে দিনে ৩ বার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সেব্য। পুরাতন হলে ১ এম বা ১০ এম এক মাত্রা দিতে হবে।

ফেরাম মেট : রক্ত স্বল্পতা,সর্বদা শুইয়া থাকিতে ইচ্ছা,দুর্বল,মুখ ফেকাসে,সামান্য গোলমাল বা শব্দ অসহ্য অল্পতেই উত্তেজিত এই প্রকৃতির বালিকাদের ঋতু দর্শনে বিলম্ব হইলে ইহা উপকারী। শক্তি ৩০ বা ২০০ দুই ফোটা ঔষধ সামান্য পানির সাথে মিশিয়ে দিনে ৩ বার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সেব্য।

বাইওকেমিক ঔষধ সমূহঃ

ক্যালকেরিয়া ফস : রক্ত শূন্যতা,ফেকাসে,দুর্বল বালিকাদের ঋতুস্রাব না হলে ক্যালকেরিয়া ফস অধিক ফলদায়ক। শক্তি ১২ এক্স বা ৩০ এক্স তিন বার খাওয়ার ৩০ মিনিট পরে চুষে খাবেন।

নেট্রাম মিউর : ঘাড় শীর্ণ,মেজাজ রাগী,সান্তনাই বৃদ্ধি,গরমে কাতর,অত্যধিক লবণ প্রিয়,এই ধাতুর বালিকাদের ক্ষেত্রে ন্যাট্রাম মিউর ভাল কাজ করে থাকে। শক্তি ১২ এক্স বা ৩০ এক্স তিন বার খাওয়ার ৩০ মিনিট পরে চুষে খাবেন।


বিঃদ্রঃ হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কোন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া ঠিক নয় এতে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সচেতনতার সাথে ব্যবহার করুন।

লেখাটি পাড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ নিজে জানুন এবং অপরের কাছে  লিঙ্ক শেয়ার করুন।

Next Post Previous Post