What are the types of computers and history: ( কম্পিউটার কত প্রকার ও কম্পিউটারের ইতিহাস )
![]() |
| Desktop photo&best images |
কম্পিউটার কি?
কম্পিউটর একটি গণনাযন্ত্র। কম্পিউটার হল এমন একটি যন্ত্র যা সুনির্দিষ্ট নির্দেশ অনুযায়ী গণনার কাজ খুব দ্রুত করে দিতে পারে। গ্রিক শব্দ ”কম্পিউট” থেকে কম্পিউটার শব্দের উৎপত্তি হয়েছে যার অর্থ গণনা করা। আর কম্পিউটার শব্দের অর্থ হল গণনাকারী যন্ত্র। আর বর্তমানে কম্পিউটার শুধু গণনাকারী যন্ত্র হিসাবে ব্যবহার হয়না এটা এখন তথ্য গ্রহণ,তথ্য প্রক্রিয়াকরণ,বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যেমে বিশ্লেষণ করে ফলাফল উপাস্থাপন করে থাকে যা মানুষের দৈন্দীন কাজে সার্বিক ভাবে সাহায্য করে আসছে। এক কথায় সকল ধরণের কার্যবলী দ্রুত করার জন্য কম্পিউটারের ভূমিকা অধিক।
কম্পিউটারের ইতিহাসঃ
ঐতিহাসিক যুগে গণনার জন্য বিভিন্ন যন্ত্র উদ্ভাবন প্রচেষ্টাকে কম্পিউটার এর ইতিহাস হিসেবে ধরা হয়। প্রাচীন কালে মানুষ বিভিন্ন সংখ্যা বুঝানোর জন্য ঝিণুক, নুড়ী, দড়িতে গিট ইত্যাদি পদ্ধতি ব্যবহার করতেন। পরবর্তীতে গণনার কাজে নানা কৌশল ও যন্ত্র ব্যবহার করে থাকলেও পরবর্তীতে এ্যাবাকাস (Abacus) নামের একটি প্রাচীন গণনা যন্ত্রকেই কম্পিউটার এর ইতিহাসে প্রথম যন্ত্র হিসেবে গণ্য হয়। এটি আবিষ্কৃত হয় খ্রিষ্টপূর্ব ২৪০০ সালে ব্যাবিলনে। এ্যাবাকাস ফ্রেমে সাজানো গুটির স্থান পরিবর্তন করে গণনা করার যন্ত্র তৈরী করা হয়। পরে দাগ কাটা,দন্ড,ছাপা ইত্যাদি ব্যবহার করা হত। পরবর্তীতে কালের পরিবর্তনের ফলে এখন আধুনিক যুগে বিজ্ঞানে অগ্রগতির ধারায় কম্পিউটারের জগৎ ব্যপক আকার ধারন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের যে কোন স্থান এর কার্য সম্পাদন সহ সকল প্রকার কাজ কম্পিউটারের মাধ্যেমে সম্পাদন করা সম্ভাব। নিম্নে বর্তমানে ব্যবহৃত কম্পিউটারের কিছু তথ্য প্রদান করা হলঃ
কম্পিউটার
সিস্টেম
কম্পিউটার সিস্টেম কতগুলো ইন্টিগ্রেটেড উপাদানের সম্মিলিত প্রয়াস। কিছু সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কাজ করে থাকে। কম্পিউটার সিস্টেমের বিভিন্ন উপাদানগুলো যেমন, হার্ডওয়্যার,সফটওয়্যার,ব্যবহারকারী,ডাটা বা তথ্য ইত্যাদি।
হার্ডওয়্যার
কম্পিউটারে ব্যবহৃত বাহ্যিক সকল যন্ত্র, যন্ত্রাংশ ও ডিভাইস সমূহকে হার্ডওয়্যার বলে। কম্পিউটার এর হার্ডওয়্যার গুলো যেমন ইনপুট যন্ত্র কী-বোর্ড,মাউস,ডিস্ক,স্কানার,কার্ড রিডার,ক্যামেরা ইত্যাদি। সিস্টেম ইউনিট এর মধ্যে যেমন হার্ড ডিস্ক,মাদার বোর্ড,র্যাম ইত্যাদি। আউটপুট যন্ত্র যেমন মনিটর,প্রিন্টার,স্পিকার,প্রোজেক্টর,হেডফোন ইত্যাদি।
সফটওয়্যার
কার্য সমস্যা সম্পাদনের উদ্দেশ্যে কম্পিউটার এর ভাষায় ধারাবাহিকভাবে সাজানো নির্দেশগুলোকে প্রোগ্রাম বলে। এই প্রোগ্রাম সমষ্টি যা কম্পিউটার এর হার্ডওয়্যার ও ব্যবহারকারীর মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে হার্ডওয়্যারকে কার্যসম্পাদন করে তাকে সফটওয়্যার বলে। কম্পিউটার এর সফটওয়্যারকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন সিস্টেম সফটওয়্যার ও এপ্লিকেশন সফটওয়্যার।
অপারেটিং সিস্টেমঃ
কম্পিটারের অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে এমন একটি সফটওয়্যার যার মাধ্যেমে কম্পিউটার এর প্রোগ্রামের এক্সিকিউশনকে নিয়ন্ত্রণ করে। যা সিডিউলিং,ডিবাগিং,ইনপুট ও আউটপুট কন্ট্রোল, একাউন্টিং,কম্পাইলেশন,স্টোরেজ অ্যাসাইনমেন্ট,ডেটা ম্যানেজমেন্ট এবং আনুষঙ্গিক কাজ করে। মাইক্রো কম্পিউটার ও পিসিতে ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেমগুলো হলোঃ
ডস,
উইন্ডোজ ৯৫,
উইন্ডোজ ৯৮,
উইন্ডোজ ২০০০,
ইউনিক্স,
ডেবিয়ান,
ফেডোরা,
ম্যাক ও এস এক্স,
উইন্ডোজ এক্সপি,
উইন্ডোজ ভিস্তা,
উিইন্ডোজ-৭,
উিইন্ডোজ-৮,
উিইন্ডোজ-১১,
উিইন্ডোজ-১০,
উিইন্ডোজ-১১
![]() |
কম্পিউটার কত প্রকারঃ
কম্পিউটারের গঠন ও প্রচলন নীতির ভিত্তিতে ৩
ভাগে ভাগ করা হয়েছেঃ
১। এ্যানালগ কম্পিউটার।
২। ডিজিটাল কম্পিউটার।
৩। হাইব্রিড কম্পিউটার।
ডিজিটাল কম্পিউটারকে আবার ৪ ভাগে ভাগ করা হয়েছেঃ
১। মাইক্রো কম্পিউটার।
২। মিনি কম্পিউটার।
৩। মেইনফ্রেম কম্পিউটার।
৪। সুপার কম্পিউটার।
মাইক্রো কম্পিউটারকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছেঃ
১। ডেস্কটপ।
২। ল্যাপটপ।
![]() |
| Laptop photo&best images লেখাটি পাড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ নিজে জানুন এবং অপরের কাছে লিঙ্ক শেয়ার করে অন্যদেরকে জানতে সাহায্য করুন। |


