Hazrat Usman (RA) Brief Biography: (হযরত ওসমান (রাঃ) সংক্ষিপ্ত জীবনী )
%20Brief%20Biography.jpg)
Hazrat Usman (RA) Brief Biography
%20Brief%20Biography.jpg)
হযরত ওসমান (রাঃ) সংক্ষিপ্ত জীবনী
হযরত ওসমান (রাঃ) ছিলেন ইসলামের তৃত্বীয় খলিফা। তার জন্ম
৫৭৯ সালে মক্কা নগরীতে কেউ কেউ বলেছেন তায়েফ নগরীতে ধারনা মতে। এছাড়া তিনি আশারায়ে মুবাসশারা এর মধ্যে
এক জন এবং ছয় জান সাহাবীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন যদের উপর হযরত মুহাম্মদ (সঃ) সন্তুষ্ট
। তিনি প্রথম কুরআনের আদর্শ সংস্করণ সংকলনের জন্য বেশী পরিচিত ছিলেন। তিনি
যৌবন বয়সে ব্যবসায়ী ছিলেন ব্যবসার দিক থেকে তার মেধা ছিল অধিক তাই তিনি অধিক ধন সম্পদের
মালিক ছিলেন। তার মুল ব্যবসা ছিল কাপড়ের এবং বিভিন্ন খাতে অর্থ বিনিয়োগ করতেন।
ইসলাম গ্রহণ
ওসমান (রাঃ) প্রথম দিকের ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে অন্যতম একজন
ছিলেন। ৬১১ সালে সিরিয়া থেকে বাণিজ্য করে ফিরে মুহাম্মদ (সঃ) কর্তৃক ইসলাম প্রচার
সম্পর্কে জানতে পারেন ও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তাঁর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ সম্পর্কে জানা
যায় তাঁর খালার কারণেই তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। ওসমানের খালা তার কবিতার মাধ্যমে
উসমানকে বেশ কিছু তথ্য দিলেন। তিনি ওসমানকে আল্লাহর রাসূল সম্পর্কে আগ্রহী করে তুলেছিলেন
তারপর ওসমান একদিন চিন্তা করতে করতে পথে যাচ্ছিলেন পথে তার বন্ধু আবু বক্কর এর সাথে
দেখা হলে তিনি তার খালার কথাগুলো আবু বক্করকে বলেন। আবু বক্কর বলেন, তোমার খালা রাসূল
(সঃ) সম্পর্কে সঠিক কথা বলেছেন। ওসমান তুমি সত্য মেনে নাও। তুমি আল্লাহর রাসূলের (সঃ)
এর কাছে যাও তার কথাগুলো শোনো। তিনি আবু বক্করের কথা অনুসারে আল্লাহর রাসূলের (সঃ)
কাছে যেয়ে তার কথাগুলো শুনলেন ও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
খলিফা হিসাবে ওসমান (রাঃ)
হযরত উমর (রাঃ) এর মৃত্যুর পরে হযরত ওসমান
(রাঃ) খলিফা নিযুক্ত হন। তিনি ৬৪৪ সাল
থেকে ৬৫৬ সাল পর্যন্ত খলিফা নিযুক্ত ছিলেন। তিনি রাজকোষ থেকে কোন বেতন নিতেন না
কারণ তার অর্থের কোন অভাব ছিল না। তার শাসনকাল খুব ভালভাবে চলছিল তিনি খলিফা নিযুক্ত
হওয়ার পরে জনগনের ২৫% ভাতা বাড়িয়ে দিয়েছিনে। উমর (রাঃ) মৃত্যুর পরে ইসলমের করুণ অবস্থা
হয়ে যায় সেই মুহুর্তে ওসমান (রাঃ) অনেক বেশী অর্থ সম্পদ দান করে ইসলামের অনেক উন্নতি
সাধিত করেন। ওসমানের নেতৃত্বে ৬৫০ সালে ইসলামীর সাম্রাজ্য ফার্স
এবং ৬৫১ সালে খোরাসান এর কয়েকটি অঞ্চলে প্রসারিত
করেছিলেন। ৬৪০ দশকের মধ্যে আর্মেনিয়া বিজয় শুরু করেছিল। হযরত
ওসমান খুব লাজুক সভাবের ছিলেন রসূলুল্লাহ (সঃ) ভবিষ্যত বাণি করেছিলেন যে ওসমান আল্লাহ্
তোমাকে পোশাক পরাবে কিন্তু মানুষেরা সেটা খোলার চেষ্টা করবে কিন্তু তুমি খুলবেনা। সেই
পোশাকটির উদ্দেশ্য ছিলো খিলাফতের দায়িত্ব পাওয়া।
পরিবার
ওসমানের পিতার নাম আফ্ফান এবং মাতার নাম ছিল আরওয়া বিনতু
কুরাইশ। তিনি কুরাইস বংশের উমাইয়া শাখার পুত্র ছিলেন। ওসমানের ঊর্ধ্ব পুরুষ আব্দে
মান্নাফে যেয়ে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বংশের সাথে মিলিত হয়েছে। তার নানী
ছিলেন বায়দা বিনতু আব্দুল মুত্তালিব ছিলেন মুহাম্মদ (সঃ) এর ফুফু। সেই সুত্রে তিনি
মুহাম্মদ (সঃ) এর ভাগ্নে হয়।
রসূলুল্লাহ (সঃ) এর জামাই ছিলেন তিনি হযরত মুমহাম্মদ (সঃ)
এর কন্যা রোকাইয়া কে বিবাহ করেন তার পর তাবুকের যুদ্ধের পরে তার প্রথম স্ত্রী রোকাইয়া
মারা যান তারপর মুহাম্মদ (সঃ) এর কন্যা উম্মে কুলসুম এর সাথে আবার বিবাহ দেওয়া হয়।
তাই তার নাম অনেকে জুন-নুরাইন বলতেন। দুই জ্যোতির অধিকারী হিসেবে
অখ্যায়িত ছিলেন। হিজরি সনের নবম সনে উম্মে কুলসুমও
ইন্তেকাল করেন।
মৃত্যু
ওসমান যেদিন খলিফা নির্বাচিত হয়েছিলেন, সেদিনও তিনি সর্বোত্তম ব্যক্তি
হিসেবে ছিলেন। আর যখন তাকে শহীদ করা হয়, সেদিনও তিনি উত্তম ব্যাক্তি ছিলেন। মুহাম্মদ
(সঃ) বলেছেন, "আল্লাহর হিকমত অনুসারে জিন-নুরাইন এর ওপর মতানৈক্য দেখা দিবে এবং
মানুষেরা তাকে শহীদ করবে। অথচ ওসমান তখনও হকের উপরই থাকবে ও তার বিরোধীরা যারা
করবে তারা বাতিলেরে উপর থাকবে।" শেষে
মিসর, বসরা এবং কুফায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী একত্র হয়ে ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দে মদিনায় একত্র হয়ে
খলিফা ওসমানের পদত্যাগ দাবি করে। হজ্জ উপলক্ষে অধিকাংশ মদিনাবাসীরা মক্কায় গমন করার
ফলে তারা এ সময়ে সঠিক সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে। খলিফা পদত্যাগে করতে অস্বীকৃতি জানালে
তারা হত্যার হুমকি দিয়ে তাকে গৃহবন্ধী করে রাখে। অবশেষে তারা ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দে ১৭
জুন হিজরি ৩৫ সনের ১৮ যিলহজ শুক্রবার আসরের সালাতের পর ৮২ বছর বয়সে বৃদ্ধ
খলিফাকে অত্যন্ত বর্বরতার সাথে পবিত্র কুরআন পাঠ করা অবস্থায় তাকে শহীদ করা হয়।
লেখাটি পাড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ নিজে জানুন এবং অপরের কাছে লিঙ্ক শেয়ার করুন।