কৃমি রোগের হোমিওপ্যাথিক ঔষধঃ (Homeopathic medicine for worms)


কৃমি রোগের হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সমূহঃ (Homeopathic medicine for worms)

(Homeopathic medicine for worms)
Homeopathic medicine for worms

লক্ষণ : কৃমি সকল লোকের অন্ত্রেই আছে তবে কাহারও বেশী কাহারও কম,কৃমি বিভিন্ন প্রকার যথা ছোট ছোট কৃমি গুহাদ্বার চুলকায় ইহাকে বলে সুত্র কৃমি,লম্বা গোলাকার কেঁচো কৃমি,ফিতার ন্যায় চ্যাপ্টা ফিতা কৃমি। অধিক মিষ্টি দ্রব্য আহার,দূষিত পানির ব্যাবাহর,অধিক মাংস ভক্ষণ,কাঁচা ফলমুল ইত্যাদি খাবার খাওয়ার ফলে কৃমি হয়ে থাকে। সাধারণত অপরিস্কার অপরিছন্ন লোকদের বেশী দেখা দেয়। নাক চুলকানো,নখ খোটা,পেটে কামড়ানি,থামচানি ব্যথা,অস্বাভাবিক ক্ষুধা কখনও ক্ষুধা থাকেনা,দাত কিড়মিড় করা,ঘুম থেকে চিৎকার করে ওঠা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়।

কৃমি রোগের হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সমূহঃ

হোমিওপ্যাথিক ঔষধ এর মাধ্যমে প্রায় যে কোন রোগের ক্ষেত্রে স্থায়ী সমাধান করা যায় তাই লক্ষণ মিলিয়ে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সমূহ নিয়মিত কোন ডাক্তার এর পরামর্শ করে সেবন করুন। আশা করি রোগ আরগ্য হবে ইনশাল্লাহ। নিম্নে কৃমি রোগের ঔষধগুলোর লক্ষণ ভিত্তিক আলোচনা করা হলঃ

ফিলিক্স মাস : কৃমি জানিত শূল বেদনা,কোষ্ঠবদ্ধ,পেটে কামড়ানি,থামচানি ব্যথা,ফিতাকৃমি জনিত শূল বেদনায় উপকারী। শক্তি মাদার ৪ ফোটা পানির সাথে মিশিয়ে দিনে ৩ বার খাওয়ার ১০ মিনিট পরে সেব্য।

টিউক্রিয়ন : ছোট ছোট কৃমি,যাহাকে সুতা কৃমি বা বক্র কৃমি বলি,এই বিরক্তকর কৃমিতে গুহাদ্বার সারাক্ষণ সুড়সুড় করে ও চুলকায়। শক্তি ১ এক্্র বা ৩ এক্স দিনে ৩ বার সামান্য পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সেব্য।

সিনা : ঘুমের ঘোরে কট কট করে দাঁত কাটে,মেজাজ খিটখিটে,নাক চুলকায়,ঘুম থেকে চমকাইয়া উঠে,রাক্ষুসে ক্ষুধা কিংবা ক্ষুধা লোপ মাঝেমাঝে চুনের পানির মত প্রস্রাব করে। শক্তি ১ এক্স থেকে ২০০ যে কোন একটি ঔষধ দিনে ৩ বার সামান্য পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সেব্য।

লাইকোপডিয়াম : শিশুদের গুহাদ্বারে ছোট ছোট কৃমি জনিত কারণে চুলকায় তাহলে লাইকোপডিয়াম ভাল কাজ করে। শক্তি ৩০ সকাল বিকাল দুই মাত্রা সামান্য ঠান্ডা পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সেব্য। কিছু দিন সেবন করতে হবে।

গ্রানেটাম : সর্ব প্রকার কৃমিতে গ্রানেটাম কাজ করে থাকে। শক্তি মাদার ৫ ফোটা সামান্য ঠান্ডা পানির সাথে মিশিয়ে ৩ বার খাওয়ার ১০ মিনিট পরে সেব্য।

থাইমল : কৃমির চমৎকার ঔষধ। শক্তি ৩ এক্স বা ৬ এক্স প্রতাহ ৪ বার সামান্য পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সেব্য।

ইগ্নেশিয়া : শিশুদের মলদ্বারে এক প্রকার ছোট ছোট কৃমি জনিত কারণে অত্যন্ত চুলকায় শিশু বিরক্তবোধ করে। শক্তি ৬ দিনে ৩ বার সামন্য পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সেব্য।

স্ট্যান্টুনাইন : যাবতীয় কৃমির শ্রেষ্ঠ ঔষধ। শক্তি ১ এক্র রাত্রে খাবারের অর্ধ ঘন্টা আগে এক বার খাওয়ালে সমস্থ কৃমি বাহির হয়ে যায়।

বাইওকেমিক চিকিৎসাঃ

নেট্রাম ফস : বাইওকেমিক মতে নেট্রাম মিউর ঔষধটি কৃমির জন্য শ্রেষ্ট। শক্তি ৩ এক্স দিনে ২ বার ৪ বড়ি করে খাওয়ার ৩০ মিনিট পরে চুষে খাবেন।

ক্যালি মিউর : ক্ষুদ্র সূতা কৃমি যাহাকে অঞ্চলিক ভাষায় গুড়া কৃমি বলে,মলদ্বার চুলকায় উত্তম কার্যকারী। শক্তি ৩ এক্স বা ৬ এক্স দিনে ২ বার খাওয়ার ৩০ মিনিট পরে চুষে খাবেন।


বিঃদ্রঃ হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কোন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া ঠিক নয় এতে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সচেতনতার সাথে ব্যবহার করুন।

লেখাটি পাড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ নিজে জানুন এবং অপরের কাছে  লিঙ্ক শেয়ার করে অন্যদেরকে জানতে সাহায্য করুন।





Next Post Previous Post